January 2, 2025, 8:17 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
শেস দিনে এসে পাটুরিয়া ঘাটে বেড়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ। শুক্রবার সকাল খেবে যাত্রীদের উপচে পড়া এই ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঘাটের কর্মকর্তারা বলছেন এই অবস্থা সারাদিন গড়িয়ে রাত অবধি চলতে পারে।
এদিকে ভিড়ের কারণে ঘাটে বেশ কিছু বিপত্তি দেখা দিতে শুরু করেছে। যেমন লঞ্চে উঠতে না পারায় যাত্রীরা ফেরিতে করে পার হচ্ছেন নদী। আবার অনেক যাত্রী আগে বাড়ি যাওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে লঞ্চেই নদী পার হচ্ছেন।
অন্যদিকে, বাড়তি ঝামেলা ডেকে এনেছে ঘাট কতৃপক্ষের আরেকটি সিদ্ধান্ত। জানা গেছে, ঘাট এলাকাকে যানজট মুক্ত রাখতে নদী পারাপারের যাত্রীদের বাস থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে যাত্রীদের প্রায় আধা কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে লঞ্চ ও ফেরিতে উঠতে হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরি পারাপারের যানবাহন ঘাটে এসে ফেরিতে উঠে নদী পার হচ্ছে। তবে ঘাটে এ সময় লঞ্চ পারাপারের যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতি বছর ফেরি পারাপারের যাত্রীদেরকে ঘাটে এসে ফেরি পার হওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ কারণে এবার ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা ফেরির অপেক্ষায় না থেকে লঞ্চে করে নদী পার হচ্ছেন। আর এই সুযোগে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকরা অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদী পার হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অফিসের কর্মকর্তা খালেদ নেওয়াজ জানান, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ২০টি ফেরি, ২২টি লঞ্চ ও আরিচা কাজীর হাট নৌ-রুটে ৭টি ফেরি ও ১০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী এবং যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এ কারণে ঘাট এলাকায় এবার যানজট সৃষ্টি হয়নি। লঞ্চের যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে তাদেরকে ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছে
ফেরিঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ও যানবাহনগুলোকে নিরাপদে নৌরুট পারাপারে সব প্রস্তুতি ছিল।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মানিকগঞ্জের এ দুটি নৌপথ। গত বছর থেকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের হার কমেছে। তবে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে তেমন প্রভাব পড়েনি।
এদিকে ঢাকার আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই, গাজীপুর, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, টঙ্গীসহ আশপাশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা এ দুটি নৌপথ দিয়ে এখানো চলাচল করেন। ঈদের সময় এ দুটি নৌপথে বাড়তি যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘাট সংশ্লিষ্টরা। বিআইডব্লিউটিসির দাবি পর্যাপ্ত ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা থাকায় ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি হবে না। এছাড়া এ দুটি নৌপথে যাত্রী পারাপারে ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করবে। এর মধ্যে পাটুরিয়ায় ২০টি আর আরিচাতে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের ব্যবস্থাপক পান্না লাল নন্দী জানান, আজকে সকাল থেকে ঘরমুখী যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে গত বছরের তুলনায় একেবারেই কম। ঈদকে সামনে রেখে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট এ দুটি নৌরুট ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় যাত্রী পারাপারে তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না।
Leave a Reply